লাখ টাকার বন্ডে আটকে গেছে সনুর বাড়ি ফেরা
পাচার চক্রের শিকার হয়ে বরগুনায় আসা ভারতের কিশোর অভিরূপ সনুর (১২) বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় নিতে এক লাখ টাকার সিকিউরিটি বন্ড দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বরগুনার আদালত। তবে তা দিতে অস্বীকার করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।
গতকাল সোমবার সকালে সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় নিতে আদালতে আবেদন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের মুখ্য সচিব রমাকান্ত গুপ্ত। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এক লাখ টাকা বন্ড দিয়ে সনুকে জিম্মায় নেওয়ার আদেশ দেন।
এ সময় অভিরূপ সনু ও পাচারকারী চক্রের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করা জামাল ইবনে মুসাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সনুকে নেওয়ার বিষয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনের মনোনীত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার উদ্দেশে বরগুনা ছাড়েন ভারতীয় হাইকমিশনের মুখ্য সচিব রমাকান্ত গুপ্ত।
এর আগে সকালে পুলিশ পাহারায় একটি মাইক্রোবাসে করে যশোরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বরগুনার আদালতে হাজির করা হয় কিশোর অভিরূপ সনুকে।
২০১০ সালে ভারতের নয়াদিল্লি থেকে সনুকে অপহরণ করে বরগুনার বেতাগী উপজেলার গেরামর্দন গ্রামে নিয়ে আসে একটি পাচারকারী চক্র। বিষয়টি প্রতিবেশী জামাল ইবনে মুসা বুঝতে পারেন। তিনি সনুর পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। এর পর তিনি নিজ খরচে নয়াদিল্লি গিয়ে দিলশাদ গার্ডেন এলাকায় সনুর মা-বাবাকে খুঁজে পান। সনু যখন অপহৃত হয়, তখন তার বয়স ছিল ছয় বছর।
অপহৃত এক শিশুর জন্য জামাল ইবনে মুসার এ মানবিক প্রচেষ্টা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে একধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি জেনে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানরা সনুকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।