সিটি নির্বাচনে ৬৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য চায় ইসি
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৫ হাজার সদস্য মাঠে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ‘ভোটের আগে দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিন মোট চারদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক হাজার ৯৩, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮৮৯ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭১৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বৈঠকের কার্যপত্র অনুযায়ী তিন সিটিতে মোট দুই হাজার ৬২৭টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৩ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বে থাকবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন করে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এদের মধ্যে ১২ জন হবেন অস্ত্রধারী।
নির্বাচনী এলাকায় র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ডের দুই হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এঁরা ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত (২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল) নির্বাচনী এলাকায় টহল দেবেন।
এ ছাড়া ২৮৬ জন নির্বাহী হাকিম ও ৩৩ জন বিচারিক হাকিম ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।
কার্যপত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করে প্রবেশের ব্যবস্থা, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফলাফল না পৌঁছানো পর্যন্ত টহল জোরদার করার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে।
কার্যপত্রে নির্বাচন কমিশন নারী ভোটারদের জন্য আগের তুলনায় অধিক সংখ্যক নারী বুথ এবং যথাসম্ভব বেশি সংখ্যায় নারী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যতদূর সম্ভব নারী ভোটকেন্দ্রে নারী এবং পুরুষ ভোটকেন্দ্রে পুরুষ আনসার নিয়োগ করতে হবে।
বৈঠকের কার্যপত্রের আলোচ্যসূচি হলো প্রাক-নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচন-পূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় স্থির করা, সন্ত্রাসী, মাস্তান ও চাঁদাবাজদের আটক এবং দৌরাত্ম্য রোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভিন্ন নির্বাচনী কার্যক্রম গ্রহণ এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন ও সংরক্ষণে নিরাপত্তা বিধান, নির্বাচনী আইন এবং আচরণ বিধিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা সুষ্ঠুভাবে পরিপালনের পরিবেশ সুগম করা এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ।
বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাব, বিজিবি, আনসার ভিডিপি, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই, এনএসআইর মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।