জঙ্গি নিব্রাসের আস্তানার মালিককে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ
রাজধানীর গুলশানের হামলাকারী জঙ্গি নিব্রাস ইসলামের আস্তানা ঝিনাইদহ জেলা শহরের সোনালীপাড়ার আলোচিত সেই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটির মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কাওছার আলী এবং মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় এ দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ডিএডি মো. আব্দুল কাদের খান লিখিতভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন।
‘লিখিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় তাদের আটক করা হয়েছে’, যোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
গত ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিব্রাসের পরিচয় বেরিয়ে আসে। সেই সূত্র ধরেই ঝিনাইদহের স্থানীয় লোকজন নিব্রাস ইসলামকে শনাক্ত করে। তারা তখন জানায়, জঙ্গি নিব্রাস ইসলাম কাওছার আলীর বাড়িতে চার মাস ভাড়া ছিল। তার সঙ্গে ছিল আরো সাতজন। নিব্রাস সেখানে ‘সাঈদ’ নাম নিয়ে থাকত। স্থানীয়দের সে বলেছিল, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সেখানে এসেছে। স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে সে খেলাধুলাও করত।
কিন্তু পুলিশ বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিল। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়, এ ব্যাপারে গণমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
কওছারের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গুলশান হামলার পর গত ঈদুল ফিতরের দিন গভীর রাতে কাওছার আলী ও তাঁর দুই ছেলে বিনছার ও বেনজির, স্থানীয় সোনালীপাড়া মসজিদের ইমাম হাফেজ রোকনুজ্জামান এবং এলাকার হাফেজ সাব্বিরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ কাওছার আলী ও হাফেজ রোকনুজ্জামানকে থানা পুলিশ পেলেও এখনো কাওছারের দুই ছেলে ও হাফেজ সাব্বিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। পৌরসভা এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।