ছাত্রলীগ নেতা খালিদ হত্যা মামলা ডিবিতে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/02/photo-1470154185.jpg)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলা জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জেলার দক্ষিণ মডেল থানায় কুবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আগস্টের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন খালিদ সাইফুল্লাহ। সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন। মামলাটি তদন্ত করছেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল আকন্দ।
সূত্র জানায়, কুবির শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ গ্রুপের সঙ্গে কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন খালিদ। তিনি সবুজ গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। পরে পুলিশ ছাত্রদের হলে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তলসহ বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
নিহত ছাত্রলীগ নেতা ও মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ছয় ছাত্রকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ছাত্ররা হচ্ছেন, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেজাউল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক, বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র সুদীপ্ত নাথ, বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুপম চন্দ্র দেবনাথ এবং নৃ-বিজ্ঞান ৩য় বর্ষের ছাত্র সজন বরণ বিশ্বাস। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, ওই ছাত্র নিহতের ঘটনায় যারাই জড়িত আছে তাদের সবাই গ্রেপ্তার হবে, কাউকে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হবে না।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মঞ্জুর আলম বলেন, ‘বর্তমানে ডিবির কার্যালয়ে কুবির ছয় ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এঁদের মধ্যে কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’