প্রেমিকাকে ফোন কিনে দিতে ভ্যানচালককে হত্যা : পুলিশ
নীলফামারীর ভ্যানচালক সুবিধ চন্দ্রকে (৩৫) চার বন্ধু কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সদর উপজেলার জ্ঞানদাস কানাইকাটা গ্রামের নিজ নিজ বাড়ি থেকে চারজনকে আটক করা হয়।
চারজন হলো- বামনডাঙ্গা গ্রামের কমল কান্ত, সুজয়, ফরিদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। সবাই পলাশবাড়ী পরশমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সবার বয়স ১৪ হতে ১৬ বছরের মধ্যে।
চারবন্ধুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশকে জানিয়েছে, এদের একজনের প্রেমিকাকে মোবাইল ফোন কিনে দিতে এবং সবার হাত খরচের টাকার জন্য ভানচালককে হত্যা করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার জানান, গত ৮ জুন রাতে নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের জ্ঞানদাস কানাইকাটা গ্রামের সংখ্যালঘু ভ্যানচালক সুবিধ চন্দ্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রথম দিকে ঘটনাটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জামায়তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) কাজ বলে ধারণা করা হয়েছিল। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে পলাশবাড়ী বাজার থেকে সুবিধ চন্দ্রের ভ্যান ভাড়া করে নির্জন সড়কে নিয়ে যায় চার বন্ধু। মালির কুড়া ব্রিজের ওপর পেট-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপায় তারা। এরপর ভ্যান নিয়ে পালানোর সময় ঘটনাস্থলে লোকজন চলে আসে। এ অবস্থায় ভ্যান রেখেই পালিয়ে যায় চারজন।
ওসি জানান, চারজনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।