আটক অপহরণকারী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হুমায়ুন কবীর নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার একটি অপহরণের ঘটনায় তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চণ্ডীপুর এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ুন কবীরের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার ডেফুলিয়া গ্রামে।
পুলিশের ভাষ্য, হুমায়ুন কবীর ডাকাত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুটি গুলি ও তিনটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য হুমায়ুনের লাশ পীরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। পরে লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হবে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, গতকাল সোমবার বিকেলে হাফিজুর রহমান নামের এক পাট ব্যবসায়ী পীরগঞ্জ ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৩ লাখ টাকা তুলে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পরিচয় দিয়ে তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে হুমায়ুন কবীরসহ কয়েক দুর্বৃত্ত। পালিয়ে যাওয়ার সময় মিঠাপুকুর উপজেলার সাল্টি গোপালপুর এলাকায় মাইক্রোবাসটি এক পথচারীকে চাপা দেয়। স্থানীয় জনতা মাইক্রোবাসটি আটক করলে অপহৃত ব্যবসায়ী হাফিজুর চিৎকার করে তাঁর অপহরণের কথা জনতাকে জানান। পরে পুলিশ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান ও তাঁর টাকা উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বরিশালের হুমায়ুন কবীর, মাদারীপুর সদর উপজেলার শিষখাড়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদার, ভোলার বাংলাবাজারের সাব্বির আলী, চাঁদপুরের মতলব উপজেলার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের মোহন আলী ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলব গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করে।
ওসি রেজাউল ইসলাম আরো বলেন, হুমায়ুন কবীরের সহযোগীদের ধরার উদ্দেশ্যে আজ ভোরে উপজেলার চণ্ডীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হুমায়ুন কবীরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে হুমায়ুন কবীর নিহত হন।