মৃত ঘোষণার পর ‘নড়ে উঠলেন শ্রমিক’, হাসপাতালে ভাঙচুর

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাবিবুর রহমান নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। হাবিবুরকে মৃত ঘোষণার পর বাসায় নিলে তিনি নড়ে ওঠেন অভিযোগ করে উত্তেজিত জনতা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর মেহেরপুর শহরের চক্রাপাড়ার হেব্বত আলীর ছেলে।
হাবিবুরের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের একটি বাড়িতে কাজ করছিলেন নির্মাণ শ্রমিক হাবিবুর রহমান। এ সময় পানির পাম্পের সুইচ দিতে গেলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিপু সুলতান হাবিবুরের ইসিজি পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বাড়িতে নেওয়ার পর হাবিবুরের দেহ একটু নড়ে ওঠে। এরপর তাঁকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এ সময় স্থানীয় লোকজনও উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে যান। চিকিৎসক ও নার্স কাউকে না পেয়ে উত্তেজিত জনতা জরুরি বিভাগের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ সিনিয়র চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগে গিয়ে আবার লাশের ইসিজি পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক লিপু সুলতান বলেন, ওই রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইসিজি করা হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে শরীরের পেশিগুলো জড়ো হয়ে যায়। সেগুলো অনেক সময় মৃত্যুর পর ছেড়ে যায়। তখন মনে হয় রোগী বেঁচে আছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসিজি পরীক্ষার মাধ্যমে হাবিবুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন। তারপরও রোগীর স্বজনরা লাশ নিয়ে এসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর করে। তখন আবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে হাবিবুর মৃত।
মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হাসপাতালে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’