খালেদা জিয়াকে আসামি করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিবাদ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২২ জন শিক্ষক।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন,চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে নির্মমতা, পৈশাচিকতা ও বর্বরতার যে উদাহরণ তৈরি করা হলো তা এক কথায় সভ্য সমাজে বেমানান।
তবে সব ঘটনার সাথে তথ্য প্রমাণ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে দায়ী করার ঘটনা, বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করার মধ্যে দিয়ে প্রকৃত আসামিদের আড়াল করার অপচেষ্টাই ফুটে উঠেছে।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সরকারদলীয় লোকজনকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেওয়া এবং ঘটনার পর র্যাবের মহাপরিচালকের অপেশাদারি-রাজনীতিবিদ-সুলভ বক্তব্য প্রদান- প্রকৃতপক্ষে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বানানোর সরকারি ষড়যন্ত্রের কথিত সন্দেহকেই ঘনীভূত করছে।’
শিক্ষকরা আরো বলেন, ‘এ সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্র, গুম-খুন, বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া, ক্রসফায়ারের নামে প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার এক ভয়ঙ্কর মিশন হাতে নিয়েছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজ উদ্দীন আহমদের মতো সজ্জন ব্যক্তিরাও সরকারের এসব ঘৃণ্য চক্রান্তের শিকার।’
বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, হাসান মোহাম্মদ, আ. ন. ম. মুনির আহমদ, মোজাফফর আহমদ চোধুরী, সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, আবুল কালাম আযাদ, আবদুল করিম, আতিকুর রহমান, কামাল হোসাইন, হারুনুর রশীদ, মতিউর রহমান, আবদুল হাকিম, আলী আজাদী, আ.ক.ম. আব্দুল কাদের, মোকতার আহমেদ, মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।