ইলিশ ধরে বরগুনার ১৯ জেলে কারাগারে
প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকারের দায়ে বরগুনার ১৬ জেলেকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই অপরাধে আরো তিন জেলেকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একজনের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কোস্ট গার্ড জেলেদের ধরে পাথরঘাটার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করে।
দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন মো. রাসেল (২৪), মো. দুলাল হোসেন (৪৫), কামাল হোসেন (৩৪), মামুন (১৮), মো. হাসান (২০), পান্না মোল্লা (৩০), মো. জসিম (১৮), মো. সাইফুল (১৮), আবুল কাসেম (৩৫), মো. আবু তালেব (৩০), মো. আয়নাল ঘরামী (৫০), মো. স্বপন (৩২), মো. বেলাল (৩০), মো. মোস্তফ কামাল (৩০), শাহ জালাল (১৮), আবদুস সালাম (৩০)।
এ ছাড়া রুবেল হোসেন (১৫), আবুল বাশার (১৫) ও মো. হাসানকে (১৫) এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর মো. সরোয়ারকে (১৪) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও পাথরঘাটার ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক সব জেলেকে দুই বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে রুবেল, আবুল বাশার ও হাসানের বয়স ১৮ বছরের কম বলা হলেও ওদের শারীরিক গঠন দেখে বয়স বেশি মনে হচ্ছে, তাই তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার মো. হাসানুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লালদিয়ার চর এলাকা থেকে দুটি ট্রলার ও তিন লাখ মিটার জালসহ ২০ জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড।
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ২৭ জেলায় নদ-নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে জেলেদের ভর্তুকি হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে।