ছিটমহলে জনগণনা শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলে জনগণনা ও সমীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ রোববার থেকে ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ছিটমহলগুলোতে বর্তমান জনসংখ্যা, জমির পরিমাণ নির্ণয়সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে এই কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে সমন্বয় কমিটির নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নাজিরগঞ্জ-দৈখাতা ও পুটিমারী, দেবীগঞ্জ উপজেলার কোটভাজনী, বালাপাড়া ও দহলা খাগড়াবাড়ী ছিটমহলে এই কাজ শুরু করেছে নাগরিক কমিটি।
এ ব্যাপারে পুটিমারী ছিটমহল নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান তছলিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকেই নাগরিক কমিটির নেতারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। ছিটমহলের নাগরিকরাও তাঁদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন।
ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি পঞ্চগড় ও নীলফামারী অঞ্চলের সভাপতি মফিজার রহমান জানান, সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুদিন আগে এই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু অন্য কাজে ব্যস্ততার কারণে কাজটি অনেকটা পিছিয়ে যায়। আগে যারা এই কাজটি করেনি তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছিটমহলে লোকসংখ্যা গণনা ও সমীকরণের কিছু কাজ আগেই শেষ হয়েছে। যাঁরা ওই সময় এই কাজটি করতে পারেননি, তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ৭ মে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল ভারতের নিম্নকক্ষ পার্লামেন্ট লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এর আগের দিন বিলটিতে সমর্থন দেন রাজ্যসভার সদস্যরা। তবে ত্রুটি থাকায় বিলটি আবারও পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ২৫৮ একর জমি এবং ভারত ৫১টি ছিট মহলের সাত হাজার ১১০ একর জমি পাবে।
এদিকে রোববার সকালেই কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে ভারতীয় দাশিয়ারছড়া ছিটমহল পরিদর্শন করেন ঢাকাস্থ হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর এটাই প্রথম কোনো ভারতীয় উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় ছিটমহল পরিদর্শন।
এ সময় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।