রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নকাজ পরির্দশনে মানজারুল মান্নান
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়নকাজ পরির্দশন করেছেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মানজারুল মান্নান। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে তিনি চলমান স্থলবন্দর উন্নয়নকাজ পরির্দশন করেন।
রামগড় মহামুনী এলাকায় দেশের ১৫তম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম এ স্থলবন্দর নির্মিত হচ্ছে। মুহাম্মদ মানজারুল মান্নান আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকায় এসে পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতা আফরীন ও বন্দরের কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সরওয়ার আলম, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. আনিসুর রহমানসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগকারী মৈত্রী সেতু-১ পরিদর্শন করেন এবং স্থলবন্দরের নির্মাণাধীন অন্যান্য অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। পরে তিনি রামগড় ইউএনও এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে স্থলবন্দরের জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
এরপর স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বন্দরের চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ বন্দরের বিভিন্ন সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতের ত্রিপুরাসহ সেভেন সিস্টারে স্বল্পসময়ে ও কম খরচে পণ্য সরবরাহ করা যাবে। এ জন্য ইতোমধ্যে ফেনী নদীর উপর ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মৈত্রী সেতু এবং ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন ও বিজিবি চেক পোস্টের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন্দর শেডসহ অন্যান্য স্থাপনার নির্মাণকাজ চলছে।