কুড়িগ্রামে গৃহপরিচারিকা অগ্নিদগ্ধ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/23/photo-1477222692.jpg)
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় রেবা খাতুন (২২) নামের এক গৃহপরিচারিকাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। রেবা এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রেবার শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গেছে।
আজ রোববার সকালে শহরের হাসপাতালপাড়ার ওয়ারেছ আলীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠেছে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রেবা।
স্থানীয় বাসিন্দারা রেবা খাতুনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এলাকাবাসী জানায়, বাড়ির মালিক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী মো. ওয়ারেছ আলী সকালে অফিসে যান। পরে তাঁর স্ত্রী বাড়ীর গেটে তালা লাগিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির ভেতর থেকে রেবা খাতুনের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মানুষ এসে তাঁর গায়ে আগুন দেখতে পায়। পরে গেটের তালা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে তারা।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণঅ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর নির্যাতনের ফলে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে।
রেবা খাতুন ২০০৫ সাল থেকে চাচা ওয়ারেছ আলীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করছেন।
এ ঘটনার পর বাড়িতে তালা লাগিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে বাড়ির লোকজন।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অজয় কুমার জানান, রেবা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এবং কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সোবহান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার মানুষের সাথে কথা জানা গেছে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের ফলে রেবা খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে।’