ছাত্রী হেনস্তার বিচার দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত পহেলা বৈশাখ রাতে ছাত্রী হেনস্তার সঙ্গে জড়িত নিপীড়কদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান। পরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভবনের সব কয়টি প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশন করতে দেখা গেছে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এ সময় শিক্ষার্থীরা নিপীড়নকারীদের দ্রুত ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্য আগামী ২৩ মের মধ্যে দোষীদের বিচার সম্পন্ন করা হবে বলে জানান।
উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে সোয়া ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র সংগঠক রেহেল ফেরদৌস শাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দীন এবং সহকারী প্রক্টররা উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় পাঁচ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর হাতে হেনস্তার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম ব্যাচের এক আদিবাসী ছাত্রী। পরে দোষীদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে পৃথক পৃথক অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে একক ক্ষমতাবলে আট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এ ছাড়া অভিযুক্ত পাঁচ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে অগ্রগতি জানতে সেলের সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।