ছেলে ‘ঘুম’ মা ‘ঘুম’, বাবা জেগে হাসপাতালে

সকালেই ছেলে সুজন পাড়ি দিয়েছিলেন চিরঘুমের দেশে। বিকেলে মৃত্যু হলো তাঁর মা সোনাভানেরও (৪২)। এ নিয়ে গাইবান্ধায় বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে।
আজ শনিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মারুফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সোনাভানের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আরো দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) স্থানান্তর করা হয়েছে। সোনাভানের স্বামী তারা মিয়া এবং তাঁর মেয়ে তানজিমাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
সোনাভান ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তারা মিয়া পেশায় দিনমজুর। গতকাল শুক্রবার রাতে নাপু পরিবহনের একটি বাসে করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিল পরিবারটি। পথে তুলসীঘাট এলাকায় স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পৌঁছালে বাসটিতে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে শিশুসহ পাঁচজন মারা যান। দগ্ধ হন অন্তত ৪০ যাত্রী।
সকালেই তারা মিয়া এই প্রতিবেদকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘ভাবলাম কাইলকে তো গাড়ি পামু না, আইজকে চলি যাই। ....এইটা ঘটনা হইল? মানুষের মতো কাম হলো এইট্যা? তুলসীঘাটা পার হয়্যা এদিক থেকে এতটুক একটা জিনিস মারি দিল গাড়ির মইদ্যে, গাড়িতে নাগা খালি (লাগা মাত্র), আগুন ধরি উঠিল্।’