অবশেষে জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত ডা. সাবরিনা

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় ১১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আইনজীবী মাসুদুল হক বলেন, ‘সাবরিনা অন্যান্য মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন। আজকের প্রতারণার মামলায় জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে বাধা নেই।’
গত বছরের ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও সিইও আরিফুলসহ আটজনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনটি ধারায় তাদের প্রত্যেককে মোট ১১ বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
২০২২ সালের ২৯ জুন যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক তোফাজ্জল হোসেন রায়ের দিন ধার্য করেন। এর আগে সেই বছরের ১১ মে তার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাবরিনা ও আরিফুল নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট আলোচিত এই মামলাটির অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে ওই বছরের ১৩ আগস্ট ডা. সাবরিনা, আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। ওদিন আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করায় বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডা. সাবরিনা, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর ছয় আসামি হলেন—শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরিনা ও আরিফুল হক চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।