সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্তে শেষ করতে ৬ মাস সময় পেল টাস্কফোর্স

উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ হাইকোর্টকে বলেন, গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অফিসে থাকা এই মামলার নথি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এ তথ্য জানানোর পর টাস্কফোর্সকে তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় দেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৮ বার পেছানো হলো।
এর আগে, সাগর-রুনি হত্যা মামলার রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
অপর দিকে এ মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে। আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে পিবিআইপ্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয় পুলিশের এমন একজন প্রতিনিধি, সিআইডির একজন প্রতিনিধি ও র্যাবের একজন প্রতিনিধিকে রাখা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদের ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়।
তার আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে সম্পূরক আবেদন করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর মামলায় নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে আলোচিত এ মামলার আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আদেশের জন্য ওঠে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।