এবারের আন্দোলন চোর তাড়ানো, জঞ্জাল মুক্ত করার আন্দোলন : শামসুজ্জামান দুদু
এবারের আন্দোলন চোর তাড়ানো, জঞ্জাল মুক্ত করার আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। আজ শুক্রবার (৯ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের আয়োজনে সারা দেশে ভয়াবহ লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম জিয়া যখন ১৬ টাকা দরে জনগণকে চাল দিয়েছে তখন আওয়ামী লীগ বলেছিল দশ টাকা দরে চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কৃষকদের ফ্রি সার দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ, আজ আশি টাকা দরে চাল কেনে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে এই সরকার সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে এবারের আন্দোলন হবে চোর তাড়ানোর আন্দোলন। এবারের আন্দোলন হবে জঞ্জাল মুক্ত করার আন্দোলন। এবারের আন্দোলন হবে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের তাড়ানোর আন্দোলন।’
দুদু বলেন, ‘মানুষ এখন অতিষ্ঠ। মধ্যবিত্তদের জন্য শ্বাসরুদ্ধকর একটি পরিস্থিতি। লুটপাট, সীমাহীন দুর্নীতি, কালোবাজারি এখন নিয়মিত ঘটনা। এমন কোনো জিনিস নেই যেটা সাধারণ মানুষের আয়ত্বে আছে। বিশ্বের চোখে আমরা এখন এক অভাবী দেশ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎতের দাম বাড়ছে। ইচ্ছামতো তারা চার্জ কাটছে। কিছুই বলা যাচ্ছে না। গ্রামের অনেক জায়গায় ষোলো থেকে আঠারো ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। তাহলে এ ব্যর্থ সরকারের থাকার দরকার কী? শুধু নির্বাচনের জন্য নয় তাদের ব্যর্থতার জন্যও এ সরকারের থাকার যৌক্তিকতা নেই। যেখানে আওয়ামী লীগ থাকে সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না।’
জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পিয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তরের বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক এজিএম সামছুল হক, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, চালক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মানিক তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলাহি প্রিন্স প্রমুখ।