কোনোদিন ভাবিনি ভূঞাপুরের মানুষের সঙ্গে বসে কথা বলতে পারবো : পিন্টু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো কোনোদিন কল্পনাও করিনি। জেলখানার অভ্যন্তরে বসে জীবনে কল্পনাও করিনি যে ভূঞাপুরের মানুষের সঙ্গে আবার দেখা হবে। মন খুলে কথা বলতে পারবো। আবার একত্রে জনসভা করবো। আমার উপরে যে নির্যাতন হয়েছে তা যদি আপনাদের কাছে বলি তাহলে গা শিউরে উঠবে। ২৪ দিন রিমান্ডে ছিলাম। আর রিমান্ডে আমার উপরে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আব্দুস সালাম পিন্টু এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম পিন্টু বলেন, ‘সেদিন এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, সারা রাত নির্যাতন করে পরের দিন কোর্টে অর্ধমৃত অবস্থায় তোলা হয়েছিল। অর্ধমৃত অবস্থায় কোর্টের বারান্দায় পড়েছিলাম। সেইদিন আবারও রিমান্ড চেয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে দেখে রিমান্ড না দিয়ে জেলখানায় পাঠায়। আর জেলখানায় পাঠানোর পর আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। আর সেই চিকিৎসা হয়েছিল সাড়ে পাঁচ মাস পর্যন্ত। তাহলে অনুভব করেন কি পরিমাণ নির্যাতন আমাকে করেছিল।’
আব্দুস সালাম পিন্টু আরও বলেন, ‘আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি হই তখন দেখেছি বিএনপির কত নেতাকর্মীর নির্যাতনের ঘটনা। সেই নির্যাতনের ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আমি ছিলাম। সেখানে দেখেছি দুই তিনদিন চিকিৎসার পর অনেক নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। কাঠের ড্রিল মেশিন দিয়ে যে কার্ড ছিদ্র করা হয়। সে কাঠ দিয়ে মানুষের পায়ে গোড়ালি ছিদ্র করে দিয়েছে।’
বিএনপি'র কারানির্যাতিত এই নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন আমাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় তারপর আমাকে কনডেম সেলে রাখে। সেই কনডেম সেলেও অমানুষিক নির্যাতন করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আল্লাহতাআলা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। আজকে আল্লাহতালা এদেরকে ধরেছে। এমন ভাবে ধরেছে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’