৯৯৯-এ ফোন, অপহরণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হলে। এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে মালিবাগ যান ওই শিক্ষার্থী। এরপর থেকেই বন্ধ তার ফোন। অপহরণ করা হয় তাকে। একইসঙ্গে অপ্রীতিকর ছবি তুলে করা হয় ব্ল্যাকমেইলিং।
অবশেষে, জরুরী পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোনের মাধ্যমে ওই ঢাবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দীন ইসলাম (২৭) ও সাইফুল ইসলাম অপূর্ব (২৮)।
আজ বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে ৯৯৯ পরিষেবা বিভাগের পরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স অফিসার) আনোয়ার সাত্তার এসব তথ্য জানান।
পুলিশের এই পরিদর্শক জানান, ঢাবির বিজয় ৭১ হল থেকে ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী আজ বুধবার (১৪ জুন) সকাল পৌণে ১০টায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এ সময় তিনি জানান, তার হলের জুনিয়র শিক্ষার্থী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্র বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গতকাল রাতে মালিবাগ গিয়েছিল। ভোররাতের দিকে তারা জানতে পারেন, ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, তার ম্যাসেঞ্জার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছিল।
ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আটক শিক্ষার্থী জানাচ্ছিলেন, তাকে খুব মারধর করা হয়েছে এবং অপ্রীতিকর অবস্থায় ছবি তোলা হয়েছে। এখন এক লাখ টাকা না পেলে তাকে ছাড়া হবে না। এ অবস্থায় ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া ওই শিক্ষার্থী দ্রুত পুলিশি সহায়তার অনুরোধ করেন।
আনোয়ার সাত্তার জানান, ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সায়েমউদ্দীন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল সায়েম তাৎক্ষণিকভাবে খিলগাঁও থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই জয়ন্ত ঘরামী সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসায় আটক শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত করে খিলগাঁও থানা পুলিশের একটি দল। পরে, ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহরণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার আটক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।