বেনাপোলে অনলাইনে বন্দর কর পরিশোধ সেবা চালু
প্রতিবেশি দেশ ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাত্রা সহজ ও ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স বা বন্দর কর পরিশোধের ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং বা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে ভ্রমণ করের পাশাপাশি এই কর পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেরাই কর পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা।
এর আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রী টার্মিনাল থেকে বন্দর কর পরিশোধ করতে হতো পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। এখন থেকে অনলাইন সেবা চালু করায় খুশি যাত্রীরা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। এতে প্রতি বছর বেনাপোল স্থলবন্দরে ভ্রমণ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় এবং বন্দর কর খাতে আয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্থলপথে ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ৯০ ভাগই বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করেন। ভারতে যাতায়াতে পাসপোর্টধারীদের বর্তমানে ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর এবং ৫২ টাকা বন্দর কর পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ভ্রমণ কর সোনালী ব্যাংকে বা অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। তবে এই সুযোগ বন্দর করের ক্ষেত্রে না থাকায় যাত্রীদের স্থলবন্দরে পৌঁছে আবারও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি দালালের হয়রানিরও শিকার হতেন যাত্রীরা।
তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে গত বুধবার (১৪ জুন) সকাল থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বন্দর কর পরিশোধ পদ্ধতি চালু হয়েছে। আর নতুন এ সেবা চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
এ বিষয়ে ভারতগামী আসাদুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘অনলাইনে বন্দর কর পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করায় আমাদের বেশ উপকার হয়েছে। অনলাইনে তাড়াতাড়ি ও স্বচ্ছভাবে জমা দেওয়া যাচ্ছে।’
অনলাইনে বন্দর কর পরিশোধের নিয়মের বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘অনলাইন ব্যবস্থা চালু করায় দেশের যেকোনো স্থান থেকে যাত্রীরা তাদের বন্দর কর পরিশোধ করতে পারবেন। এতে সময় সাশ্রয় হবে।’
বন্দর কর পরিশোধে দালালচক্রের শরণাপন্ন না হতে যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের পরিদর্শক মনিরউজ্জামান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে বন্দর কর পরিশোধ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারছেন। তবে একইসঙ্গে দালালচক্র থেকে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।’