নরসিংদীতে জোড়া খুনের মামলায় বিএনপিনেতা কারাগারে
ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে জোড়া খুনের মামলায় বিএনপিনেতা জাহিদুল কবির ভূঁইয়াকে আটক করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে নরসিংদী সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে কারাগারে পাঠানো হয়।
জাহিদুল কবির ভূঁইয়া নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিজিৎ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুই ছাত্রদলনেতা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়েছিল। শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত বিএনপিনেতা জাহিদুল কবির ভূঁইয়া ভারত থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। ওই সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী নিয়ে আসি।’
এসআই অভিজিৎ চৌধুরী আরও বলেন, ‘জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নেহনাজ সিদ্দিকির আদালতে সোপর্দ করা হয় জাহিদুলকে। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।’
চলতি বছরের ২৫ মে নরসিংদীর চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের বিক্ষোভ ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক (৩২) ও আশরাফুল ইসলাম (২০)। পরে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেকুর রহমান সাদেকের মৃত্যু হয়। এর এক দিন পর একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাদেকুরের বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানা, যুবদল সভাপতি, ছাত্রদল সভাপতিসহ বিএনপির ৩০ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জাহিদসহ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।