জুনেও দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল
গত জুন মাসে সারাদেশে সড়ক, রেল ও নৌ পথে মোট ৫৩৩ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সড়ক পথে হয়েছে ৪৭৫ দুর্ঘটনা। মাসটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই ঘটেছে ১৬০টি, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৬ জন ও আহত হয়েছে ১১৭ জন। নিহত ও আহতের দিক শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
নিহতের দিক থেকে দুই চাকার এই যানে প্রাণহানির সংখ্যা মোট মৃত্যুর ৩৭ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। মোট আহতের ২৪ দশমিক ৬৩ শতাংশই হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
আজ সোমবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ যাচাই করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুন মাসে সড়ক, রেল ও নৌ পথে মোট ৫৩৩ দুর্ঘটনায় ৫৬৮ জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয়েছেন ৮৬৭ জন। এর মধ্যে সড়ক পথে ৪৭৫ দুর্ঘটনায় ৫১৩ জন নিহত ও ৮২৬ জন আহত হয়েছেন। মাসটিতে রেলপথে ৪১ দুর্ঘটনায় ৩৯ জনের মৃত্যু ও ছয়জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৭ দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু ও আহত হন ৩৫ জন। এ ছাড়া দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সড়ক পথে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ঘটেছে ১২৩ দুর্ঘটনা। আর ২২ দুর্ঘটনা নিয়ে এই তালিকায় সবার তলানিতে রয়েছে বরিশাল বিভাগ।
দুর্ঘটনার ধরণের কথা জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ২৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩২ শতাংশ, ফিডার রোডে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার তিন দশমিক ৫৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও এক দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২০৩ জন চালক, ১০৫ জন পথচারী, ৮৪ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৫২ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ৯৮ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, দুজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে পাঁচ সেনাবাহিনীর সদস্য, দুই পুলিশ সদস্য, ১৬১ জন চালক, ৮৭ পথচারী, ৫৮ নারী, ৪০ শিশু, ৪৫ শিক্ষার্থী, ৪৪ পরিবহণ শ্রমিক, ৯ শিক্ষক, এক চিকিৎসক ও নয়জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।