রাজস্ব আয় বাড়াচ্ছে ডিএসসিসি
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছয় হাজার ৭৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডিএসসিসির বাজেট ছিল ছয় হাজার ৭৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, পরে সংশোধিত বাজেট হয় এক হাজার ৯৯৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এবারের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফলে, ডিএসসিসির রাজস্ব আয় বাড়ছে।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজের ঘোষণার সময় ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিন অর্থ বছরের বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ডিএসসিসির রাজস্ব আদায় প্রতি বছর বাড়ানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ডিএসসিসির রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৮৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৮৩৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৫৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমি নির্বাচনকালীন কোনো কর বৃদ্ধি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি আমি অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা করেছি। আমরা কোনো কর বৃদ্ধি করিনি । বরং আয়ের খাত বৃদ্ধি, কর ফাঁকি রোধ এবং বকেয়া কর আদায়ের মাধ্যমে আমরা রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। যথাযথ তদারকি এবং নতুন ১২টি খাত থেকে অর্থ আদায়ের ফলে রাজস্ব আদায়ে আমরা সফল হয়েছি।’
ডিএসসিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫.৬৬ কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে বেতন ভাতা বাবদ ৩০০ কোটি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ৭৯ কোটি নির্ধারণ করা হয়েছে। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৮.৮৪ কোটি, সরবরাহ বাবদ ৬০.৬৯ কোটি, ভাড়া, রেটস্ ও কর খাতে ১১.২৫ কোটি, কল্যাণমূলক ব্যয় বাবদ ১৩.৮৭ কোটি, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বাবদ চার.৬০ কোটি, ফিস বাবদ ৯.৭৫ কোটি। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ ৩০.০২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডিএসসিসির মশা মারতে ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মশক নিধন কীটনাশক ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়াও ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন পরিবহণ বাবদ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কাউন্সিলর, বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।