ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ছয় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রির অপরাধে তিনটি খাবারের হোটেল, দুটি মিষ্টির দোকান ও একটি মসলার কারখানাকে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এই জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।
থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত ওই অভিযানে পৌরসভার খাদ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমসহ উপজেলা ভূমি অফিস ও পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, বিক্রি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বটতলা রোড এলাকার দারুচিনি হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হাজি কাজল মিয়াকে ২৫ হাজার টাকা, দুধ বাজারে আম্মাজান হোটেলের মালিক স্বপন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা, আলমগীর হোটেলের মালিক আলমগীরকে ২০ হাজার টাকা, টিনপট্টি এলাকার ভগবতী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক দিলীপ দেবকে ২৫ হাজার টাকা, রমেশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক নন্দন দাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া হলুদপট্টি এলাকায় ভেজাল মসলা তৈরির অভিযোগে কারখানার মালিক হামিদুল মিয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ভৈরব শহরে হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রি করা হয়—এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া ভেজাল মসলা তৈরির একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মসলা কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় দারুচিনি, আম্মাজান, আলমগীর হোটেল এবং রমেশ ও ভগবতী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ খাবার তৈরি, বিক্রি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর ভেজাল মসলা তৈরির অভিযোগে কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই সপ্তাহের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।’
নাগরিকদের স্বাস্থ্যসম্মত ও বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেন।