ঢাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পাশাপাশি দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা। তবে, স্বস্তির খবর আগের তুলনায় দেশে ডেঙ্গুরোগী কমছে। বর্তমানে ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল। কিন্তু, ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে বহুল ব্যবহৃত স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।
আজ রোববার (৬ আগস্ট) ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে তরল স্যালাইন। অনেক হাসপাতালে এ স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।’ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কী ভূমিকা রাখছে জবাবে অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ‘স্যালাইনের ব্যাপারটি শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওপর নির্ভরশীল নয়। এ বিষয়ে ওষুধ কোম্পানি, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোরও বড় ভূমিকা আছে।’
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদারকি করছে।’
ডেঙ্গুর পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জুলাই মাসজুড়ে ডেঙ্গু প্রতিনিয়ত বেড়েছে। তবে, বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে ঢাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা এখন স্থিতিশীল। ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও আগে যে হারে বেড়েছিল তা ওভাবে এখন আর বাড়ছে না। পরিস্থিতি যখন স্থিতিশীলতা থেকে রোগী কমার দিকে যাবে, তখন আমাদের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমবে। এর আগ পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাদের থাকতে হবে।’
এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশন নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, সেটি কতটুকু কার্যকর সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিধন নিয়ে আমার আসলে পুরোপুরি জানা নেই। তবে, সিটি করপোরেশন যে ওষুধগুলো এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে, সবগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। এর পরেই সেটি প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা আশ করি, যেহেতু তারা নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, অবশ্যই এর ইফেক্টিভনেসও পরীক্ষা করা হয়েছে।’