সোনালি স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যস্ত পাটচাষিরা
সময়টা পাট এখন থেকে আঁশ ছাড়ানোর। সেই আঁশ শুকিয়ে বিক্রি করা হবে। কৃষকের ঘরে সোনালি আঁশের মতোই আলো খেলবে এরপর। পূরণ করবেন এতদিন জমিয়ে রাখা পরিবারের ছোট ছোট স্বপ্নকে। আর তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা মিলেছে। তারা নদী-নালা ও খাল বিল থেকে জাগ দেওয়া পাট তুলে এনে পাট থেকে আঁশ ছাড়িয়ে তা রোদে শুকানোর কাজ করছেন।
কুমিল্লা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় দেশী পাট অর্জিত হয়েছে ৪৭৬ হেক্টর ও তুষা ৫৬৩ হেক্টর। এ ছাড়া দেশি পাট গড় ফলন ১০৫ হেক্টরে আট দশমিক পাঁচ টন ফলন সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং তুষা জাতের পাট ৪০৪ হেক্টরে ১১ দশমিক পাঁচ টন পাট সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছর জেলার হোমনা, তিতাস, মেঘনা এবং দাউদকান্দি উপজেলায় পাট চাষ ভালো ফলন হয়েছে।
অন্য বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরা পাট কেটে তা নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুরুষের সঙ্গে নারীদেরকেও দেখা গেছে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে।
এ বছর পাটের ফলন ভালো হওয়ায় কুমিল্লার চাষিদের মুখে ফুটছে হাসি। চাষিরা পাট নিয়ে যেমন ব্যস্ত সময় পার করছে পাটের ফলন ভালো হওয়ায় তেমন খুশিও। চাষিদের আশা তারা ভালো দাম পাবে। আশানরূপ দাম পেলেই বজায় থাকবে তাদের মুখের হাসি।