তৃতীয় টার্মিনাল বাড়াবে যাত্রী ধারণক্ষমতা, চলাচল বাড়বে দ্বিগুণ
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে বিশ্বমানের সব সুযোগ-সুবিধা থাকছে। যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পাল্টে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোসহ থার্ড টার্মিনালের ফ্লোর এবং সিলিংয়ে নজরকাড়া প্যাটার্নের বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই পরিশীলিত। বিশ্বমানের সুবিধা প্রশংসিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বিমানবন্দরটি দিয়ে চলাচল করতে পারবেন বর্তমান সময়ের দ্বিগুণ।
আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) ২০২৪ সালের শেষের দিকে থার্ড টার্মিনালের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহণের সক্ষমতা।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বর্তমানে প্রতি বছর ৬৫ থেকে ৮০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারে। এটি-ই বর্তমানে সক্রিয় দুই টার্মিনালের সর্বোচ্চ সক্ষমতা। থার্ড টার্মিনাল চালুর পর সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে দ্বিগুণ।
তৃতীয় টার্মিনালের রিভাইজড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) থেকে জানা যায়, থার্ড টার্মিনালে দুই লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটারের তিনটি ফ্লোরের একটি মডার্ন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন রয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালে বছরে ৬৫ থেকে ৮০ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। নতুন টার্মিনাল চালু হলে ধারণক্ষমতা হবে দ্বিগুণ। অর্থাৎ, অন্তত এক কোটি ২০ লাখ মানুষের পা পড়বে এখানে।
ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা এয়ারলাইন্সগুলো হলো—শ্রীলঙ্কার ফিটস এয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ান এয়ার, আবুধাবিভিত্তিক উইজ এয়ার, ইন্দোনেশিয়ার গারুদা ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের ইরাকি এয়ারওয়েজ, জর্দানের রয়াল জর্দানিয়ান, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
এসব এয়ারলাইন্স ছাড়াও বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মৌখিকভাবে বেবিচককে জানিয়েছে আরও চারটি এয়ারলাইন্স। পাকিস্তানের পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ), উজবেকিস্তানের উজবেকিস্তান এয়ারওয়েজ, সুইজারল্যান্ডের সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও রিয়াদ এয়ার।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুমোদন পায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক)। শুরুতে টার্মিনালটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় সাত হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। সবমিলিয়ে প্রকল্পটির খরচ দাঁড়ায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকারও বেশি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে পাঁচ হাজার ২৫৮ কোটি তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বাকি ১৬ হাজার ১৪১ কোটি দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা-জাইকা।