ঢাকায় হামলা করতে একত্রিত হয়েছিলেন তারা, দাবি সিটিটিসির
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলাম আল আনসার’-এর পাঁচ সদস্য ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। তারা সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে অত্যন্ত গোপনীয়তায় মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) অভিযানে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে গতকাল শনিবার দিনগত রাতে সংগঠনটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ইহছানূর রহমান ওরফে মুরাদ ওরফে সাইফ (২৬), সাখাওয়াতুল কবির ওরফে আনিস ওরফে রফিক (৪৫), বখতিয়ার রহমান ওরফে নাজমুল (৩০), ইউসুফ আলী সরকার (৩১), জাহেদুল ইসলাম ওরফে আশ্রাফ (৩৫)।
গ্রেপ্তারের সময় পাঁচজের কাছ থেকে দুটি দেশীয় পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে সিটিটিসির প্রধান বলেন, তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলির বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ঢাকায় আস্তানাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কৌশলে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তারা। গ্রেপ্তার পাঁচজন ও পলাতক আসামিরা অবৈধভাবে অস্ত্র-গুলি নিজ দখলে রেখে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনের ষড়যন্ত্র, মোবাইলের মাধ্যমে গোপনীয় অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের তথ্য আদান-প্রদান করে আসছিল। তারা ঢাকায় হামলার জন্য একত্রিত হয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।
আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, এই ছয় জঙ্গিসহ সংগঠনটির আমিরকে ধরা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা সেটি করতে পেরেছি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আনসার আল ইসলামের বেশ কিছু আস্তানা রয়েছে ঢাকা জেলায়। এর মধ্যে সাভার এলাকার দায়িত্বে ছিলেন আশরাফ। এই আশরাফ ঢাকা কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে পড়ালেখা করেছেন। তার দায়িত্ব ছিল সাভার সেলটা দেখা। আশরাফ ২০১৫ সাল থেকে আনসার আল ইসলামে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করেন। পরে তাকে সাভার সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংগঠনটির আমির ও বাকিদের রিমান্ডে নিয়ে আমরা আরও কিছু ভালো তথ্য পাব বলে আশা করছি।