জামায়াতকে শাপলা চত্বরের দিকে এগোতে দিচ্ছে না পুলিশ
রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের ঘোষণা দিলেও আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। তবে আরামবাগে হাজারো কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছেন জামায়াতের নেতারা। পুলিশ তাদের শাপলা চত্বরে এগুতে দিচ্ছে না।
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আরামবাগে হাজার হাজার জামায়াতের নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা বলছেন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে পুলিশ এখনও আটকে রেখেছে।
এদিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে আরামবাগ ও দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশেষ ফোর্স ও জলকামান নিয়ে দৈনিক বাংলা মোড়, পুরনো পল্টন, মতিঝিলের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। তবে আরামবাগ এলাকায় জামায়াতের একটি দল মিছিল নিয়ে এগুতে চাইলে তাদের আটকে দেওয়া হয়। এসএম মিজানুর রহমান নামে জামায়াতে ইসলামীর এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ জামায়াতে ইসলামী মহাসমাবেশের ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে, ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এ অবস্থায় সমাবেশের চেষ্টা করা হলে প্রতিহত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মতিঝিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে নটরডেম কলেজের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারপরও সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স। সতর্ক অবস্থায় সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, জামায়াতের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে সকাল ৯টার দিকে দলটির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হন শাপলা চত্বরের দক্ষিণ পাশে। এসময় পুলিশ দলটির নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। তারা একটু দূরে গলিতে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি মো. রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মতিঝিল ও আশপাশে কোনো ব্যক্তি থাকবে না। একটি পাখিও থাকতে পারবে না।’ তবে, শাপলা চত্বর এলাকার আশপাশের গলিতে জামায়াত সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরো এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। ওই এলাকায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।