পাবনায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চিফ উৎপল মির্জার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে পৌর সদরের দিলালপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী তসলিমা খাতুন (৩৫), পাবনা পৌর সদরের আরিফপুর মহল্লার মোবারক মোল্লা (২৫), দিলালপুর মহল্লার জহুরুল ইসলাম (৩৫) ও তানভীর ইসলাম (৩০)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, দুপুরে বেশকিছু সন্ত্রাসী একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা সাংবাদিকের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও বাসার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সাংবাদিক উৎপল মির্জা বাড়িতে ছিলেন না। হামলার ঘটনাটি উৎপল মির্জার স্ত্রী ফোনে জানান। তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রওশন আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং এক নারীসহ চারজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, হামলার ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক হাতেনাতে চারজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পেছনে কারা ছিল, কী কারণে এই হামলার ঘটনা, সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক উৎপল মির্জা বলেন, ‘দুপুরে আমি অফিসে কর্মরত ছিলাম। এ সময় আমার স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে হামলার ঘটনাটি জানায়। আমি দ্রুত পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি সদর থানার ওসিকে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে হামলাকারী বেশিরভাগ পালিয়ে গেলেও চারজনকে আটক করা হয়।’
কেন ও কী কারণে এই হামলা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি উৎপল মির্জা। তবে ইছামতি নদী নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করায় সংক্ষুব্ধ কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
উৎপল মির্জার বাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘উৎপল মির্জা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে আজ সন্ধ্যায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’