ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন
গ্রাহকের সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ বুধবার( ৬ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সাঈদুর রহমান আসামি আব্দুল ওয়াদুদকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
এ বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সাইফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আসামি এখন আদালতের গারদখানায় রয়েছে। বিকাল ৩ টায় সিএমএম আদালতে রিমান্ডে শুনানির সময় তাকে আদালতে তোলা হবে।
জিআরও বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় আসামিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে আব্দুল ওয়াদুদকে তার মাতুয়াইলের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ব্যাংকের মগবাজার শাখার ম্যানেজার ও এসভিপি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ওয়াদুদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, আব্দুল ওয়াদুদ ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্টের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মগবাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন। প্রথমে তিনি ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ এবং পরে ম্যানেজার অপারেশন্সের দায়িত্ব পালন করেন। মগবাজার শাখায় থাকাকালে শাখার গ্রাহক আলিনা অটো বাইক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক কবির হোসেনের চলতি ব্যাংক হিসাব থেকে আশরাফ এন্টারপ্রাইজে এলসি মার্জিনে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা, এলসি সিকিউরিটি বাবদ ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩ কোটি ৯৪ হাজার টাকা স্থানান্তর করেন। এই লেনদেন চলার সময় আসামি নিজ আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আলিনা অটো বাইক, আশরাফ এন্টারপ্রাইজ, তানজিল এন্টারপ্রাইজ, নারগিস মটরসের এলসি মার্জিন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেন। ওই টাকা আরটিজিএস করে নিজ নামে নিয়ে মোট ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামি আত্মসাৎ করা টাকার কিছু অর্থ নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে ফেরত দিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।