দিনাজপুরে তাপমাত্রা নামল ৮.৫ ডিগ্রিতে, বিপর্যস্ত জনজীবন
দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তারা ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। গত ছয় দিন ধরে ঘন কুয়াশা থাকায় জেলার কোথাও সূর্যের দেখা মেলে না।
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গতকাল শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা রাত ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়েছে। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষেরা কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
প্রচণ্ড শীতের কারণে খুব বেশি প্রয়োজন হলেই কেবল মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা, নেই কর্মচাঞ্চল্য।
শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এই শীতের তীব্রতা আগামীকাল (সোমবার) পর্যন্ত থাকতে পারে। এ মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আরও কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতলে শিশু ও বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। শিশু চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান জানান, শাতকালীন নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।