লালমনি এক্সপ্রেসে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাটেনডেন্ট কারাগারে
চলন্ত আন্তনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়িত্বরত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীকে আটক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পরই রেলওয়ে পুলিশ আটক করে তাঁকে।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালের দিকে ট্রেনটি লালমনিরহাট পৌঁছার আগেই এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে থানায় মামলার পর বিকেলে অভিযুক্ত আক্কাস গাজীকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীর বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকায় বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার পুলিশ।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল সকালের দিকে লালমনি এক্সপ্রেস তিস্তা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পৌঁছালে ‘খ’ বগির ৭ নম্বর কেবিন থেকে কান্নার শব্দ আসতে থাকে। পরে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন কেবিনের দরজা খুলে মেয়েটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস মেয়েটি ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে তাকে আটক করা হয়।
জিআরপি সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জয়দেবপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার কথা ছিল মেয়েটির। কিন্তু সে ভুল করে লালমনি এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে। পরে টিকিট চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না থাকায় মেয়েটিকে দায়িত্বরত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী ৭ নম্বর কেবিনে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। পরে সকালে লালমনিরহাট পৌঁছার আগে কেবিন ফাঁকা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ট্রেনটি লালমনিরহাট পৌঁছার পর রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ইদেল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
লালমনিরহাট জিআরপি থানার ওসি ফেরদৌস আলী জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটির কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলার পর অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।