একদলীয় শাসন দেশকে সংঘাত ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে : এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতাকর্মীরা বলেছেন, একদলীয় আওয়ামী শাসন দেশকে সংঘাত ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন দলটির নেতারা। পাতানো নির্বাচন ও অসাংবিধানিক ‘ফাইভ পার্সেন্ট’ সংসদ বাতিলের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবি পার্টি। বিকেল তিনটায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার এতটাই হীনমন্যতায় আছে যে আজ তাকে পাকিস্তানের স্বীকৃতিও বেচতে হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পৃথিবীর যে কেউই স্বীকৃতি দিক না কেন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের এই প্রহসনের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। কাজেই এই নির্বাচন বৈধতা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা এই নির্বাচন, এই অবৈধ সংসদ কখনও মেনে নেব না।’
বি এম নাজমুল হক বলেন, ‘অবৈধ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলছে। যতদিন মানুষ ভোট দিতে পারবে না, তার অধিকার পাবে না ততদিন আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দেশে একদলীয় শাসন পরিপূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন করানো হয়েছে। অথচ স্বৈরাচারী রাজা ও এক ব্যক্তির স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির জন্য সারা বিশ্বের মানুষ সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামের মাধ্যমেই গণতন্ত্র ও বিশ্বজনীন মানবাধিকারের ধারনা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা পৃথিবী যখন আরও বেশী মানবিক ও গণতান্ত্রিক হওয়ার জন্য উন্নত জবাদিহিতামূলক পথ খুঁজছে আওয়ামী লীগ তখন আমাদের আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছে।’
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবি এম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠিনক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, নজরুল ইসলাম, আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।