হেলিকপ্টারে নববধূকে বাড়ি আনলেন প্রবাসী
বাবা-মায়ের শখ ছিল ছেলে বিয়ে করতে যাবে হেলিকপ্টারে করে। তাদের ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়েই বিয়ে করতে যান দেলোয়ার হোসেন আকন। নববধূকে নিয়েও আসেন শ্বশুরবাড়ি থেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে।
গতকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের সারেঙ্গা গ্রামে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়িতে আসেন বর দেলোয়ার হোসেন আকন।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন আকন ৯ বছর ধরে আমেরিকায় থাকেন। সম্প্রতি বিয়ে করার জন্য দেশে আসেন। দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে পাশের নড়িয়া উপজেলার ফতেহজঙ্গপুর ইউনিয়নের বাজনপাড়া গ্রামের লুৎফর বেপারীর মেয়ে সাহাদা খাতুন হুমায়রার বিয়ে হয়। গতকাল দুপুরে দেলোয়ারের শ্বশুরবাড়িতেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বর রওনা দেন। বিকেল ৪টার দিকে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় স্বজনেরা বর-কনেকে বরণ করে নেন। তাদের দেখতে স্থানীয়রা সারেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ভিড় করে।
ফারজানা আক্তার, আফসানা আক্তারসহ সারেঙ্গা গ্রামের অনেক বাসিন্দা বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেনের বাবা-মায়ের শখ ছেলের বরযাত্রা হেলিকপ্টারে হবে। তাই দেশে এসে বিয়ের এ আয়োজন করেন। আমাদের এলাকায় হেলিকপ্টারে চড়ে এই প্রথম বর কনে এসেছেন। তাই আমরা দেখতে এসেছি।’
বরের মা আমেনা খাতুন জানান, তার দুই ছেলে দুই মেয়ে। ছেলের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে আর নববধূকে বরণ করে আনতে হেলিকপ্টার ভাড়া করেন। ছেলে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিয়ে আসায় খুবই খুশি তিনি। তাদের জীবনের শখ পূরণ হয়েছে বলে জানান।
বর দেলোয়ার হোসেন আকন বলেন, ‘বাবা-মায়ের শখ ছিল আমি হেলিকপ্টারে করে বউ আনি। তাদের শখ পূরণ করেছি। খুবই ভালো লাগছে।’
কনে সাহাদা খাতুন হুমায়রা বলেন, ‘আমি আগে কখনও হেলিকপ্টারে উঠিনি। এই প্রথম উঠলাম। অনুভূতিটা খুবই ভালো ছিল। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’