শিশুকে হত্যা করে পুঁতে রাখায় সৎবাবাসহ গ্রেপ্তার দুই
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/02/15/sirajgonj-arrest-photo.jpg)
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পুঁতে রাখা অবস্থায় ধানক্ষেত থেকে সানজিদা নামে নয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সলঙ্গা থানার ওলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শিশুটির সৎবাবা ও প্রতিবেশী মামাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিশুটির সৎবাবা সানজিদাকে হত্যার পর ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর তাঁর এই কাজে সহায়তা করেন শিশুটির প্রতিবেশী মামা।
নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) সলঙ্গা থানার আমসড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। শিশুটির সৎবাবা শরিফুল ওলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে আর হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দেড় মাস আগে জরিনা বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাঁকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেন কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন। হাসমত আলী তাঁকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তাঁর হাতে তুলে দিলেই স্ত্রীকে ফেরত পাবেন।
এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করে। তারা চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ওই রাতেই তাঁরা মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে পুঁতে রাখে।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সানজিদার সন্ধান না পেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তাঁরা। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।