সাংবাদিকদের এমপি বানানোর কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/02/23/3.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতিকে দুই দুবার সংসদে এমপি করেছি। এবার বর্তমান সভাপতিকে সংরক্ষিত আসনে এমপি করেছি। কেন করেছি জানেন না? যাতে সাংবাদিকরা আমাদের সমালোচনা করতে না পারে।
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে সংসদ সদস্য করায় ধন্যবাদ জানানোর জবাবে হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ থেকে ৪৮ জন নারী প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। তার মধ্যে নরসিংদী থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগ থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কর্মরত আছেন। ২০০১ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য হন।
এছাড়া চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি।
সব শ্রেণিপেশার মানুষকে সংসদে আনতেই সাংবাদিকদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সংসদ সদস্য করার সুযোগ পেয়েছি। সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আনার চেষ্টা করেছি। সংসদে কী হয়, সেগুলো সবার জানা ও দেখা দরকার।’
আজ সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এতে দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। যথারীতি লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যের পর প্রথমে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ১১জন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান। এসময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিয়েছি কেন জানেন না? সাংবাদিকরা যাতে আমাদের সমালোচনা না করতে পারে, সে জন্য।’
দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র তো আছেই। ষড়যন্ত্র প্রত্যেকবারই হচ্ছে। বার বার করেছে। নির্বাচন যাতে না হয়, বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা আপনারা জানেন। এগুলো হঠাৎ করে নয়, পরিকল্পিতভাবে করেছে। নির্বাচন যখন বানচাল করতে পারবে না, বুঝে গেছে। নির্বাচনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল। তাই তারা পরিকল্পনা করেছে, দ্রব্যমূল্য বাড়বে আর তারা আন্দোলন করবে।’