‘জনগণের ওপর বিএনপি-জামায়াতের আস্থা নেই, আস্থা বিদেশিদের ওপর’
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, দেশের জনগণের ওপর বিএনপি-জামায়াতের আস্থা নেই। তারা আস্থা রেখেছে বিদেশিদের ওপরে। বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঢাকার দূতাবাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী নাবিল আহমেদ এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী নাবিল আহমেদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বাংলাদেশের মানুষের আস্থা রয়েছে। কারণ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বর্তমানে যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে দৃশ্যমান। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। নির্বাচনের সময় আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলে ভোট প্রার্থনা করেছি। টানা চতুর্থবারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাজী নাবিল আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান স্পিকারের নেতৃত্বে আগামী ৫ বছর সংসদে প্রাণবন্ত ও দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হবে।
দেশের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে কাজী নাবিল বলেন, ২০০৯ সালে মাথাপিছু আয় ৬০০ মার্কিন ডলারের কিছু বেশি ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৭০০ ডলার। ২০০৯ সালের জিডিপি ৬০ বিলিয়ন ডলারের থেকে এখন ৪৫০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৩২০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ২৫ হাজারের মেগাওয়াটের বেশি। আমরা অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক সূচক থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছি।
সরকারি দলের এই এমপি সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, সব আন্তর্জাতিক ও জাতীয় চক্রান্তকে ছিন্ন করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ উন্নয়নের কাজ বলে শেষ করা যাবে না। সব উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
কাজী নাবিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় মানুষের উন্নয়নের জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন। সব সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃসেবা, শিশু মৃত্যুরোধসহ সব ক্ষেত্রে এমডিজির ৮টি লক্ষ্যমাত্রার সব ক্ষেত্রেই উত্তরণ করেছে। এসডিজির ১৭টি গোলের সবগুলো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। প্রতিটি সূচকে আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কারণে। আমাদের ভালো দিনগুলো সামনে রয়েছে। সরকার যেভাবে উন্নয়ন করছে তাতে আগামী ৫ বছরে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির পথে এগিয়ে যাব।