ইফতারে আপেল-খেজুরের প্রয়োজন না হলে দোকানে যেন না দেখি : গয়েশ্বর
রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ৪ মার্চ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আঙুর ও খেজুরের পরিবর্তে বরই ও দেশি ফল দিয়ে ইফতারের পরামর্শ দেন। সে সময় তিনি ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’র পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আপনার সংসারে যেমন আপনি দেখেন, এইভাবে দেশটারেও দেখেন…।’ শিল্পমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ইফতারে আপেল, খেজুর খাওয়ার যদি প্রয়োজন না থাকে তবে এগুলো রাখার দরকার কী?...এ গুলো যেন দোকানে না দেখি।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন গয়েশ্বর। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জন্য আমাদের যে চলার গতি, সেটি কিন্তু থেমে নেই। এটি জাতির জন্য সুভাগ্য। সব শ্রেণিপেশার মানুষই আজ আহত, নিষ্পেষিত। তারা পুরো দেশ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
আলোচনা সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
গণতান্ত্রিক বিশ্বে ভারতকে বাদ দেওয়া যায় না জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, যাদের ৭২ বছরের গণতন্ত্রের প্রচলন আছে। তাদের নিজের দেশে গনতন্ত্র থাকলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক সেটা তারা চান না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গালাগালি করে কোন লাভ নেই, কারণ তার ক্ষমতায় থাকতে হলে আর স্বশরীরে বেঁচে থাকতে হলে বিদেশিদের এই স্বার্থ সেই চরিতার্থ করার সুগম পথ করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ইফতারে আপেল, খেজুর খাওয়ার যদি প্রয়োজন না থাকে তবে এগুলো রাখার দরকার কী? তিনি বলেন, ‘এ গুলো যেন দোকানে না দেখি।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, যেদিন বাংলাদেশ ভালো থাকে না, সেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্য ভালো থাকে না। তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করে যে বিপ্লবের ডাক দিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সে বিপ্লবে ছাত্র সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ গ্রহণ করা আহ্বান জানান।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, আজকের এই দিনটি কালো দিন, একইসঙ্গে আন্দোলনের দিন। ছাত্রদল বিশ্বাস করে এই দিনের স্মরণ করে আগামীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির সহ অর্থবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী , সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম প্রমুখ।