পুলিশ কর্মকর্তা আনিস হত্যা, বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আনিসুল করিমের বাবা ও মামলার বাদী ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ২৯ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ মামলায় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামিরা হলেন—জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন। আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিরা হলেন—আরিফ মাহমুদ জয়, মো. মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, মো. তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, মো. সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, মো. লিটন আহম্মেদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না।
অপরদিকে, মামলার আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মারা যাওয়ায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
এজাহার থেকে জানা গেছে, এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করেন।