১৭৭ বিজিপি সদস্যকে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে : বিজিবি মহাপরিচালক
দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রত্যেক সদস্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে আসছেন উল্লেখ করে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, মিয়ানমারের সংঘাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৭৭ বিজিপি সদস্য প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। আগে যেভাবে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছিল, সেভাবে এদেরও প্রত্যাবর্তন করা হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে সীমান্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে বিজিবি মহাপরিচালক খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বিজিবি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট আইসিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আইপিটি ও আইসিপি চালু হওয়ার পর এই পার্বত্য জনপদের অর্থনৈতিক ধারা অনেক বিস্তৃত হবে। আইসিপি চালু হলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটবে। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের অর্থনীতিতে আরও গতিশীলতা আসবে। একই সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চল আরও সমৃদ্ধ হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, রামগড় সীমান্ত অংশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হওয়ার পর বাণিজ্যের নতুন মাত্রা যোগ করবে। আইসিপি পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন এবং চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট বিজিবির ব্রিফিং মনোযোগ দিয়ে শুনেন।
এরপর বিজিবি মহাপরিচালক রামগড় সিমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির সূতিকাগারে স্মৃতি বিজড়িত মনোমেন্ট পরিদর্শন করেন এবং রামগড় রাইফেলসের অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি ২২৮ বছর আাগে ১৭৯৫ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন হিসেবে বিজিবি গোড়াপত্তনের ইতিহাস তুলে ধরে এ স্থানে আসতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে উল্লেখ করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর নিহত পরিবার-পরিজনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিজিবি সদস্যদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এরপর বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি রামগড় জোনের পক্ষ থেকে এলাকার দুস্থ অসহায় দুই শতাধিক পরিবারের মধ্যে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম আবুল এহসান, রামগড় জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেনসহ গুইমারা সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।