হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে যে পরামর্শ দিল আইসিডিডিআরবি
একের পর এক তাপামাত্রার রেকর্ড ভাঙছে চলতি মৌসুমের প্রতিটি দিন। তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে সাড়ে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরের তাপমাত্রায়। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকায়। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রিতে পৌঁছাল যশোর। এমন এক পরিস্থিতিতে ‘হিট স্ট্রোকের’ শঙ্কার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
আইসিডিডিআরবি তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্টে বলেছে, ‘সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত গরমে হতে পারে হিট স্ট্রোক, পানিশূন্যতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। এ সময় বাড়ে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। তীব্র গরমে কিছু নিয়ম মেনে চলে নিজের ও পরিবারের সকলের সুস্থতা নিশ্চিত করুন।’
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে আইসিডিডিআরবি বলছে, ‘দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, রোদ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন। হালকা রঙের, ঢিলে ঢালা এবং সম্ভব হলে সুতির জামা পরুন। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিন বা গোসল করুন। প্রস্রাবের রঙের দিকে নজর রাখুন, তা হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বেশি অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’
আইসিডিডিআরবি বলছে, সব থেকে ঝুঁকিতে আছে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শ্রমজীবী ব্যক্তি, যেমন রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক, যাদের ওজন বেশি, যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ আছে।