হিরো আলমের ওপর হামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ২ জুন
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন ধার্য করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এই আদেশ দেন।
আদালতে সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা শাহ আলম বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, উপনির্বাচনের দিন গত বছরের ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৭ জুলাই সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। পরে তিনি বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। তারপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পাঁচ থেকে ছয়জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।