স্ত্রী যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করায় স্বামীর আত্মহত্যা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে গেলে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী মো. রেদওয়ান হোসেন (২৫)। আজ শুক্রবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ রেদওয়ান হোসেনের নিজ বসতঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আহসান উল্যার ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক।
রেদওয়ানের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম মৃধা জানান, কয়েক বছর আগে পাশের গ্রামের মফিজ মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রেদওয়ান হোসেনের। বিয়ের সময় খাদিজা আক্তার অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়েতে নিকাহনামা নিবন্ধন হয়নি। তবে তারা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। রেদওয়ান ও খাদিজা দম্পতির ঘরে রাহাতুল ইসলাম নামে এক বছর আট মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে। রেদওয়ানের ছয় বোনের মধ্যে সবার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। তার মা-বাবা মারা যাওয়ার পর রেদওয়ান স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। রেওয়ানের স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। মামলা চলমান থাকায় তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতে সন্তান নিয়ে অবস্থান করছেন।
রেদওয়ানের বোন রহিমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই গতকাল রাতে নিজ ঘরে ঘুমায়। সকাল ৯টায় জানতে পারি তাঁর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে আমি এসে প্রতিবেশিদের সহায়তা নিয়ে ভাইয়ের মরদেহ নামিয়ে বিচানায় রাখি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যায়।’
ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রেদওয়ান হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’