কক্সবাজারে বেশির ভাগ সড়ক পানির নিচে, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আজ সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে টানা ভারী বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে রয়েছে। এতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।
কক্সবাজার শহরের গোলদিঘি, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, বড় বাজার, টেকপাড়া, কালুর দোকান, তারাবনিয়ারছড়া, নুর পাড়া, সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, ফদনার ডেইল, কুতুবদিয়া পাড়া ও হোটেল মোটেল জোনসহ বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, কক্সবাজার উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে গেছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রিমালের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। আজ সারাদিন দমকা বাতাসসহ বৃষ্টি চলতে পারে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি চাকমা বলেন, মহেশখালীতে যে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় সেটি মেরামত করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বভাববিক।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বাতাসের গতি। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই সকালে ঘরে ফিরেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে সাগরে জোয়ার এলে পানি ও বাতাসের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।