স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে ময়না খাতুনকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (২৩ জুন) বিকেল ৪টায় অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জেবুন্নেছা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ময়না খাতুন উপজেলার চড়ুইমুরী গ্রামের মোজদার আলীর মেয়ে।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই মাসে ময়না খাতুনের সঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলার চক হরিপুর গ্রামের জহর আলী সরকারের ছেলে বাবু সরকারের বিয়ে হয়। ময়মা খাতুন বিয়ের আগেই পাশের ভদ্রকোল চরপাড়া গ্রামের আহম্মদ আলীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যে কারণে তিনি শ্বশুরবাড়ি না থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করতেন।
ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ময়না খাতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে ২১ সেপ্টেম্বর বাবু সরকার শ্বশুরবাড়িতে আসেন স্ত্রীকে নিতে। এরপর দুপুরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালান স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা জহর আলী সরকার বাদী হয়ে ময়না খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক আহম্মদ আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে উল্লাপাড়া মডেল থানার মামলা করেন।
এরপর পুলিশ ময়না খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক আহম্মদ আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত আজ ময়না খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক আহম্মদ আলীকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।