শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড়বেন না : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড়বেন না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। শেখ হাসিনা শেখের বেটি। দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড়বেন না। তিনি কাউকে ক্ষমা করবেন না। বাংলাদেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। ৭৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের বয়স। দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন, ঝড়, অন্ধকার, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ।
আজ শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। বিএনপি নেতারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। তাদের এক নম্বর নেতাইতো দুর্নীতিবাজ। টাকা পাচার করে পালিয়ে গেছে। তাঁকে দেশে ফিরেয়ে এনে বিচার করা হবে। খেলা হবে, আবারও খেলা হবে। ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে আবারও খেলা হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। শেখ হাসিনা শেখের বেটি। তিনি কাউকে ক্ষমা করবে না। দুর্নীতির রাজ্যে কাউকে ছাড়বেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই। আমাদের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। আমাদের জন্ম জনতার মাঝ থেকে। আমরা অস্ত্র উঁচিয়ে শেষ রাতে ক্ষমতা দখলকারী দল নই। জনগণের মাঝে জনগণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বলেছিলাম বছরব্যাপী উদযাপন করবো। সেখানে খবর হয় আমরা নাকি পাল্টাপাল্টি করছি। গতকাল আমরা সাইকেল র্যালি করেছি, বিএনপির কি কিছু ছিল? তাহলে কেন এই অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন? আমরা সারা বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। আমাদের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। আগস্ট মাসের পরে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।
বিএনপি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বড় বড় কথা বলে। তাদের আন্দোলন ভুয়া। বিএনপিতে এখন আতঙ্কের নাম তারেক রহমান। মধ্যরাতে টেমস নদীর পার থেকে ফরমান আসে। একজন গেল, আরেকজন এলো, মধ্যরাতের ফরমান। তারেক রহমানের এ ফরমানে ফখরুল ইসলাম, গয়েশ্বর বাবু কোথায় যান? কেউ জানে না। লন্ডনের বসে কর্মসূচি দেয় মেইড ইন লন্ডন। নতুন নেতৃত্ব পাঠায় ফরমান আকারে। লন্ডনে বসে নেতা বানায়, কর্মসূচি দেয়। এই মেইড ইন লন্ডন কর্মসূচি মানে কী? খেলা কিন্তু হবে, ছেড়ে দেওয়া হবে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সাঈদ খোকন প্রমুখ।