ভাবি হত্যায় দেবর, বাবা-মা হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড
যশোরে পৃথক দুটি রায়ে বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ছেলের এবং ভাবি হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (৩০ জুন) এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বাবা-মা হত্যার ঘটনায় ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া হাবিবুর রহমান মিলন (৩৭) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী হুমায়ুন কবীর।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর হাবিবুর রহমান মিলন দা দিয়ে তার বাবা মহিরুদ্দিনকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করেন। মা আনোয়ারা বেগম আয়না ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন মিলন। এ ঘটনায় মিলনের ছোটভাই বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশও মিলনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মিলনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ ছাড়াও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের আদেশ দেন।
এদিকে যশোরের বাঘারপাড়ায় গৃহবধূ তুলি হত্যামামলায় দেবর মোহাম্মদ শাহবুদ্দিনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। তবে, এ মামলার অপর দুই আসামি তুলির স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও চায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এ রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি জানান, স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল দেবর শাহাবুদ্দিন গৃহবধূ তুলিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে যশোর সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান দুই সন্তানের মা তুলি। পরে তুলির বাবা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ তুলির দেবর, শাশুড়ি ও স্বামীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়।