লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ সালমা আক্তারকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী কামরুল হাসান সুমনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার স্বামী কামরুলকে আটক করেছে পুলিশ। কামরুলের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কলহ থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সদর হাসপাতাল থেকে কামরুলকে পুলিশ আটক করে। গতকাল বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে সালমাকে মারধর এবং পরে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

নিহত সালমা সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের টুমচর গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। আটক কামরুল একই এলাকার মো. খোকনের ছেলে। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

হাসপাতালে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় চার বছর আগে প্রেম ও বিয়ে করে কামরুল ও সালমা। তাদের বিবাহিত জীবন ভালোই চলছিল। তবে, গত ছয় মাস আগে টিকটকে পরিচিত এক তরুণীকে কামরুল বিয়ে করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে সালমার সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয় কামরুলের। এতে কামরুল তাকে নানান অত্যাচার করত। বিষয়টি সালমা তার পরিবারকেও জানিয়েছে। ওই কলহের জেরেই ঘটনার সময় কামরুল সালমাকে মারধর করেছে। পরে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) মাকছুদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি হাসপাতাল যাই। সেখানে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কামরুলকে আটক করে নিয়ে গেছে।’

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘নিহতের পরিবার অভিযোগ করায় কামরুলকে আটক করা হয়েছে। ওই নারীর (সালমা) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’