ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হত্যা, ১০ জনকে আসামি করে মামলা
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে প্রকাশ্যে পাচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাতজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় মামলাটি করেন নিহত সুমনের ছোট ভাই পুলিশ সদস্য এইচ এম ইমন হাওলাদার।
এ ঘটনায় আটক তিনজনসহ প্রধান অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ হাওলাদার ও ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলেনকে আসামি করা হয়েছে।
আটক আসামিরা হলেন পাঁচগাঁও এলাকার কাওসার হাওলাদার (৪৭), শেখ নুর হাওলাদার (৫৫) ও নুর হোসেন (৫০)। মূল অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ হাওলাদার পলাতক রয়েছেন।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচগাও আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই গুলির ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর ২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যান সুমন। পরে তাঁর মরদেহ টঙ্গিবাড়ী থানায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মরদেহে হৃদস্পন্দনের অস্তিত্ব রয়েছে এমনটা দাবি উঠলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সুমন হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আজ বাদ জোহর পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুমন হাওলাদারের জানাজা শেষে মরদেহ সমাজের কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় ইউএনও, ওসি, অসংখ্য নেতাকর্মী, সমর্থক এবং স্থানীয় জনতা উপস্থিত ছিলেন।
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশা করছি দ্রুত তিনি গ্রেপ্তার হবেন। এ ছাড়া তিনি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’